আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চালু করা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেয় না বা চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যায় না। আর সরকারি হাসপাতালে তো কোনো পরিষেবাই ঠিকঠাক পাওয়া যায় না। কারণ পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বাস্থ্য বাজেটে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম খরচ করে। বেসরকারি হাসপাতালে ১৪ দিন আগে নাম লিখিয়ে রাখার পরেও বেড খালি পাওয়া যায় না । বিনা চিকিৎসায় রোগী মারা যান। মানুষ তাই আজ উপলব্ধি করতে পারছেন যে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড হলো প্রকৃত অর্থে এপ্রিল ফুল কার্ড।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের যে দিনের পর দিন মানুষকে বোকা বানানোর এই চালাকি তা’ আম জনতার সামনে তুলে ধরতে রাজ্য আইএনটিইউসির সভাপতি মহ কামরুজ্জামান কামার সাহেবের নেতৃত্বে, আইএনটিইউসি সেবাদল শাখার সভাপতি শ্রী প্রমোদ পান্ডে ও রাজ্য মহিলা আইএনটিইউসির সভানেত্রী শ্রীমতী শ্রাবন্তী সিং- এর পরিচালনায় আজ ১লা এপ্রিল, বেলভিউ হাসপাতালের সামনে পোড়ানো হলো স্বাস্থ্য সাথী নামক এপ্রিল ফুল কার্ড।
বিক্ষোভে সামিল হন রাজ্য আইএনটিইউসি ও পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ যাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন রণজিত মুখার্জী, কৃষ্ণা দেবনাথ, সুব্রতা (রাসু) দত্ত, তপন আগরওয়াল, মানস ব্যানার্জী, ওমপ্রকাশ জয়সোয়াল, মিতা চক্রবর্তী, পূজা রায়চৌধুরী, সুনীল সিংহ, সীজার ঘটক, হাসান রেজা, শঙ্কর হাজরা, সুতপা দেবী, শীলা দেবী, মৃগাঙ্ক মল্লিক, মুকুল বসাক, গোপীনাথ নাইয়া, দীপক সাহেব শিলা দেবী, বিদ্যা দত্ত প্রমুখ।
শেষে কামার সাহেবের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বেলভিউ হাসপাতাল ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে দেখা করেন ও স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের রোগীদের যেন কোনোভাবেই ফেরানো না হয় সেই দাবি পেশ করেন। এবং জানান এর পর থেকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ইমার্জেন্সী রোগীদের ফেরানো হলে আরও বৃহৎ বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হবে। ম্যানেজমেন্ট এ বিষয়ে আশ্বাস প্রদান করলে বিক্ষোভ কর্মসূচি তুলে নেওয়া হয়।













